রূপচর্চায় শসা ব্যবহার যেমন জনপ্রিয় ঠিক তেমনই কার্যকর। শসা কেবল সালাদ হিসেবেই নয়; টোনার, ফেসপ্যাক, স্ক্রাব, বডি লোশন ইত্যাদি ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার পণ্য হিসেবেও এর তুমুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। প্রাকৃতিক রূপচর্চায় শসার এত গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার প্রধান কারণ হলো এর নানাবিধ ব্যবহার ও চমকপ্রদ ফলাফল।
শসার শতকরা ৯৬ ভাগই হলো পানি। এটি মিনারেলস, ভিটামিনস এবং নিউট্রিয়েন্টসে পরিপূর্ণ। এছাড়াও রয়েছে ফলিক এসিড, অ্যাস্ট্রিজেন্ট এবং অ্যান্টি-রিংকেল প্রপারটিস, যা ত্বকের প্রমুখ সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা রাখে। ৯৬% পানি হওয়ায় এটি ত্বকের সম্পূর্ণ হাইড্রেশন ধরে রাখে, ত্বককে করে মসৃণ এবং কোমল। অ্যান্টি-রিংকেল প্রপার্টিজ ত্বককে বলিরেখা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও শসা ত্বকের কোলাজেন লেভেলকে বুস্ট করে , ইনভারমেন্টাল টক্সিন থেকে রক্ষা করে, ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে ব্রণ এবং হাইপার-পিগমেন্টেশন দূর করে, রোদে পোড়া ভাব দূর করে এবং চোখের নিজের কালো দাগ ও ফোলা ভাব দূর করে। রূপচর্চায় শসা ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের প্রায় অনেক সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, নাহলে কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যাবে না। মুখে কোন কিছু ব্যবহারের আগে অবশ্যই তার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিয়ে তারপরেই কেবল ব্যবহার করা উচিত, নাহলে উপকারের বদলে অপকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যায়। প্রাকৃতিক স্কিন কেয়ারে শসার সঠিক ব্যবহার এবং সতর্কতা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।
এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা যেসব বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাবেন –
- শসার রস মুখে দিলে কি হয়,
- শসার রস মুখে মাখার নিয়ম,
- চোখে শসা ব্যবহারে কি হতে পারে,
- শসা ত্বকের কি কি উপকার করে,
- প্রাকৃতিক রুপচর্চায় শসার ১১ টি ব্যবহার
- চুলের যত্নে শসার সঠিক ব্যাবহার,
- ছেলেদের ত্বকের যত্নে শসা,
- রুপচর্চায় শসা ব্যবহারে কিছু বিশেষ সতকতা।
শসার রস মুখে দিলে কি হয়?
শসা ফলিক এসিড এবং ভিটামিন-সি তে পরিপূর্ণ যা ত্বককে হাইড্রেট করে এবং নিরজীবতা থেকে রক্ষা করে। রূপচর্চায় শসা ব্যবহারে এত জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হলো শসায় থাকা অ্যাস্ট্রিজেন্ট যা ওপেন পোরসের সমস্যা দূর করে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা অ্যান্টি-রিংকেল প্রপার্টি হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও শসা ত্বককে ব্রণ, র্যাশ বা রেডনেস এবং রোদে পোড়া ভাব থেকে মুক্তি দেয় ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
শসার রস মুখে মাখার নিয়ম :
খোসা সহ একটি শসা বেটে নিয়ে তা একটি পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে ছেকে রসটুকু বের করে নিন। এবার এই রসটুকুকে ছোট ছোট আইস কিউব আকারে গড়ে নিন। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে একটি করে আইস কিউব টিস্যুর সাহায্য পেঁচিয়ে মুখে ঘষুন। এভাবে রূপচর্চায় শসা ব্যবহারে রোদে পোড়া ভাব দূর হবে, চোখের ফোলা ভাব কমবে এবং স্কিন হাইড্রেটেড থাকবে। এছাড়াও ত্বকের ধরন এবং সমস্যা অনুযায়ী শসার সাথে অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে মেখে ঘরোয়া উপায় রূপচর্চা করতে পারেন।
চোখে শসা ব্যবহারে কি হতে পারে?
শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং ফলিক এসিড। এই ফলিক এসিড এন্টিঅক্সিডেন্ট তৈরিতে উদ্দীপ্ত করে যা স্কিনকে ইনভারমেন্টাল টক্সিনের সাথে লড়তে সাহায্য করে এবং চোখের ফোলা এবং ক্লান্ত ভাব দূর করে। এছাড়া শসার রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি থাকে, যা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে।

শসা ত্বকের কি কি উপকার করে?
রূপচর্চায় শসা ব্যবহারের প্রধান কারণ হলো এর নানাবিধ উপকারিতা ও গুনাগুন। নিম্নে বর্ণিত সকল সমস্যার সমাধানের ক্ষমতা রয়েছে শশার।
রোদে পোড়া দাগ দূর :
শসার রয়েছে কুলিং ইফেক্ট, নিউট্রিয়েন্টস এবং ভিটামিনস যা রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে ও ত্বককে শান্ত করে।
ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি :
শসায় সিলিকা নামক এক ধরনের মিনিরেলস থাকে যা ত্বকে ইনস্ট্যান্ট গ্লো দেয়।
ত্বক ফর্সা করতে :
অর্গানিক স্কিন কেয়ারে শসা ব্যবহারে এটি ত্বকের কোলাজেন লেভেলকে বুস্ট করে এবং শসায় থাকা অ্যাস্ট্রিজেন্ট, লাইটিং প্রপার্টিজ এবং ভিটামিন-সি ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করে।
ত্বক টানটান করতে :
শসাতে রয়েছে অ্যান্টি-রিংকেল প্রপারটিজ যা ত্বকের বলিলেখা হওয়া প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে টানটান রাখে।
চোখের নিচের কলো দাগ দূর :
ডার্ক সার্কেল বা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে শসা যাদুকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে।

চোখের ফোলা ভাব কমানো :
এক ফালি শসা কেটে চোখের ওপর নিয়মিত রাখলে তা পাফি-আই বা চোখের ফোলা ভাব কমাতে দারুন কার্যকর।
রুপচর্চায় শসার ১১ টি ব্যবহার :
অর্গানিক রূপচর্চায় শসার জনপ্রিয় ৫ টি ফেসপ্যাক :
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে :
উপাদান : শসা এবং টক দই
তৈরীর নিয়ম : খোসাসহ অর্ধেকটা শসা বেটে তা থেকে রস থেকে নিয়ে নিয়ে তার সাথে ১ টেবিল-চামচ টক দই মিক্স করে প্যাক তৈরি করে নিন।

যেভাবে ব্যবহার করবেন : প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বককে হাইড্রেট রাখতে :
উপাদান : শসা এবং অ্যালোভেরা জেল
তৈরির নিয়ম : খোসাসহ অর্ধেকটা শসা বেটে রস বের করে নিয়ে তার সাথে ১ টেবিল-চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন : প্যাকটি মুখে ১৫-২০ মিনিটের জন্য রাখুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বককে ফর্সা করতে :
উপাদান : শসা এবং লেবুর রস
তৈরির নিয়ম : দুই টেবিল চামচ শসার পেস্ট এবং এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।

যেভাবে ব্যবহার করবেন : মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ন্যাচারালি স্কিন কেয়ার করতে প্যাকটি সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করুন
ব্রণ দূর করতে :
উপাদান : শসার, রস মধু এবং ওটমিল পাউডার
তৈরীর নিয়ম : অর্ধেকটা শসা বেটে নিয়ে তার রস আলাদা করুন, এবার এর মধ্যে ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ ওটমিল পাউডার মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন।

যেভাবে ব্যবহার করবেন : একটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন এবং শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ডার্ক সার্কেল এবং পাফিনেস দূর করতে :
উপাদান : একটি শসা এবং ঠান্ডা পানি
তৈরির নিয়ম : একটি শসার খোসা ছাড়িয়ে ফালি ফালি করে কেটে নিন এবং ঠান্ডা পানিতে রেখে ৩০ মিনিটের জন্য রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন।
যেভাবে ব্যবহার করবেন : ৩০ মিনিট পর শসার ফালি গুলো রেফ্রিজারেটর থেকে বের করে চোখের উপর রেখে ১৫ মিনিটের জন্য অপেক্ষা করুন। ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
রূপচর্চায় শসা দিয়ে ৩ টি ফেসিয়াল :
শসা দিয়ে তৈরি প্রথম ফেসিয়াল :
১ম ধাপ : শসার ফেস স্ক্রাব –
২ চামচ টক দই নিয়ে এতে ২ চামচ ওটস পাউডার, ২ চামচ শসার পেস্ট ও ১ চামচ পুদিনার কুচি মিশিয়ে দিন। উপকরণগুলো ভাল করে মিশিয়ে নিন। ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করে মুখের উপর স্ক্রাবটি সার্কুলার মোশনে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ২ মিনিট স্ক্রাবিং করুন।
২য় ধাপ : ফেসিয়াল স্টিম –
একটি বড় বাটিতে পানি গরম করে নিয়ে তাতে এক ফোঁটা লেমন এসেন্সিয়াল অয়েল এবং এক মুঠো পুদিনা পাতা ফেলে দিন। এই পাত্রের মাধ্যমে মুখে পাঁচ মিনিটের জন্য স্টিম নিয়ে নিন।
৩য় ধাপ : শসার ফেসপ্যাক –
অর্ধেকটা শসা, ২ চামচ নারকেল তেল ও ১/২ চামচ ক্যারট সিড তেল নিন। উপকরণগুলো একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই মিশ্রণটি ত্বকের উপর ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
রূপচর্চায় শসা দিয়ে তৈরি দ্বিতীয় ফেসিয়াল :
১ম ধাপ : ক্লিনজিং –
এক টেবিল চামচ শসার রস এবং এক টেবিল চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে তা ফেইসে এপ্লাই করে ৩-৪ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২য় ধাপ : ফেসিয়াল স্ক্রাব –
২ টেবিল চামচ চিনি, ২ টেবিল চামচ শসা রসের মধ্যে মিশিয়ে এর মাধ্যমে স্ক্রাবিং করে নিন এবং মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩য় ধাপ : শসার ফেসপ্যাক –
১ টেবিল চামচ ময়দার সাথে ২ বা ৩ টেবিল চামচ শসার রস মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এটি সাড়া মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
রূপচর্চায় শসার তৃতীয় ফেসিয়াল :
১ম ধাপ : টোনার –
৩ টেবিল চামচ শসার রস নিয়ে তাতে ৩/৪ ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এটি একটি কটন বলের সাহায্যে মুখে এবং গলায় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে লাগিয়ে ৮-১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২য় ধাপ : শসার স্ক্রাব –
২ টেবিল চামচ চিনির মধ্যে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এক ফালি শসা নিয়ে তার ওপর এই মিশ্রণটি দিয়ে ত্বকে স্ক্রাবিং করে নিন এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩য় ধাপ : শসার ফেসপ্যাক –
দুই টেবিল চামচ মুলতানি মাটির মধ্যে শসার রস মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন।
এবার এটি ১০-১৫ মিনিটের জন্য মুখে লাগিয়ে রাখুন এবং শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
হোমমেড স্কিন কেয়ারে শসা দিয়ে তৈরি টোনার
১টি মাঝারি সাইজের শসা ব্লেন্ড করে নিয়ে তার থেকে রস আলাদা করে নিন। শসার রসের মধ্যে কয়েক ফোটা লেবুর রস, ১ চা-চামচ এলোভেরা জেল এবং ১/২ চা-চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে নিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন এটিকে টোনার হিসেবে মুখে ব্যবহার করুন।
প্রাকৃতিক রূপচর্চায় শসার তৈরি বডি লোশন :
৫ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল, ৩ টেবিল চামচ শসা রস এবং ২ টেবিল চামচ গ্লিসারিন ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এটিকে বডি লোশন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
এই বডি লোশনটি রোদে পোড়া ভাব দূর করবে এবং ত্বককে ময়েশ্চরাইজড রাখবে।
অর্গানিক স্কিনকেয়ারে শসা দিয়ে তৈরি ময়েশ্চারাইজার :
মাঝারি সাইজের অর্ধেকটা শসা ব্লেন্ড করে নিয়ে তার রস ছেঁকে নিন। এবার এতে ৩ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল, ১ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল এবং একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভালো মতো মিশিয়ে নিন।
এটি ডার্ক সার্কেল এবং হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করে ত্বককে রাখবে ময়েশ্চরাইজড।
শসা দিয়ে তৈরি কিছু বেস্ট স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট হলো Boots Essential Cucumber Moisturising Cream, Boots Essential Cucumber Facial Wash, Mamaearth Vitamin C Facial Toner with Vitamin-C & Cucumber।
চুলের যত্নে শসার ব্যাবহার :
শসার হেয়ার প্যাক চুলের খুশকি দূর করে, চুলের রুক্ষতা দূর করে নরম ও ঝলমলে করে।
স্ক্যাল্পকে ভাল রাখার পাশাপাশি শসা চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং চুলকে পুষ্টির জোগান দেয়।
এতে খুশকি, স্ক্যাল্পের প্রদাহ ইত্যাদিকে সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। পাশাপাশি চুলের প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরিয়ে আনে শসা।
নারকেল তেলের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে ব্যবহার করুন। অথবা একটি শসা ব্লেন্ড করে এর থেকে রস বের করে নিন।
এতে অ্যালোভেরা জেল, কয়েক ফোটা লেবুর রস এবং আপেল সাইডার ভিনিগার যোগ করুন। সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে লাগান।
চুলের গোড়ায় লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে এক ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
ছেলেদের ত্বকের যত্নে শসা :
ছেলেদের ত্বকের টেক্সচার ভিন্ন হওয়ায় এবং দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে কাটানোর ফলে তাদের ত্বকের চাই একটু স্পেশাল কেয়ার।
এক্ষেত্রে প্রতিদিন বাসায় ফিরে মুখ ধোয়ার আগে শসার টুকরা দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এটি প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বক পরিষ্কার হয় ও রোদে পোড়া ভাব দূর হয়।
এছাড়া ন্যাচারাল স্কিন কেয়ারে শসার রস ত্বকের প্রাকৃতিক মশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে।
শসা সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে দেখে নিতে পারেন-
রুপচর্চায় শসা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সতর্কতা :
প্রাকৃতিক রূপচর্চায় শসা দিয়ে বিভিন্ন প্যাক তৈরির ক্ষেত্রে পিএইচ যেন ঠিক থাকে সেদিকে সতর্ক থাকবেন।
শসার প্যাক ব্যবহারে স্কিনে কোন এলার্জিক রিএকশন হচ্ছে কিনা তা আগেই প্যাচ টেস্ট করে জেনে নিন।
শসার আইস কিউব মুখে সরাসরি এপ্লাই না করে একটি নরম কাপড় বা টিস্যুতে পেঁচিয়ে নিন।

শসা দিয়ে স্ক্রাবিং করার সময় কোনভাবেই অতিরিক্ত ঘষামাজা করবেন না।
ফেসপ্যাক কখনোই ত্বকে ওভার ড্রাই করবেন না।
রূপচর্চায় শসা আমাদের ত্বক ও চুল উভয়ের জন্যই উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। রূপচর্চায় শসা ব্যবহারে এটি ত্বককে নরম রাখতে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে, ত্বককে ভেতর থেকে সতেজ ও টানটান রাখতে বেশ সহায়তা করে। প্রায় ১২ মাসই বাজারে শসা পাওয়া যায়। যে কারণে সকলের বাড়িতেই সারা বছর শসা মজুত থাকে। ঘরে থাকা এই সবজি দিয়েই তৈরি করে নিতে পারেন ফেস প্যাক অথবা টোনার, যা আপনার ত্বকে পুষ্টি যোগানো ও ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরানো সহ ব্রণ, হাইপার-পিগমেন্টেশন, ডার্ক সার্কেলসহ ত্বকের অনেক সমস্যার নিশ্চিত সমাধান করতে কার্যকর।
FAQ :
ক) শসা ত্বকের কি কি উপকার করে ?
শসা ত্বককে হাইড্রেট করে, ত্বক উজ্জ্বল করে, রোদে পোড়া দাগ দূর করে, ত্বককে মসৃণ ও টানটান করে, চোখের নিচের কালো দাগ ও ফোলা ভাব কমানো সহ আরো অনেক উপকার করে থাকে।
খ) রোদে পোড়া দাগ কি শসা ব্যবহারে দূর হবে?
হ্যাঁ, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে শসার রস বেশ কার্যকর।
গ) শসা কি ত্বকে প্রতিদিন ব্যবহার করা যায়?
হ্যাঁ, শসার মূল উপাদানই হলো পানি। তাই এটি প্রতিদিন ব্যবহার করা ত্বকের জন্য নিরাপদ।



