প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হবার জন্য হরেক রকম উপাদান আমদের হাতের কাছেই আছে তাই কেমিকেলযুক্ত কসমেটিকস ব্যবহার না করে চলুন জানি প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হবার নিয়ম।
এই ন্যাচারাল উপায়ে ফর্সা হওয়া নিয়ে কম বেশি সবারই বেশ আগ্রহ থাকে। কেননা সবাই চায় নিজেকে একটু বেশি সুন্দর করে প্রেজেন্ট করতে ।নিজেকে সবার থেকে একটু আলাদা করে তুলতে।
তবে কেমিক্যালযুক্ত উপাদান ব্যবহার করে ত্বক ইনস্ট্যান্ট ফর্সা হলেও পরবর্তীতে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়।এজন্যই বর্তমান তরুন প্রজন্মের কাছে প্রাকৃতিক রূপচর্চা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে জানতে হবে প্রাকৃতিক উপাদানের সঠিক ব্যবহার।
হারবাল উপাদান বা প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি বিভিন্ন প্রোডাক্ট সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে পারলে ত্বক হবে ভেতর থেকে স্থায়ী ভাবে ফর্সা ও গ্লোয়িং। যে কোনো বয়সী নারী পুরুষের জন্যই নিজের ত্বকের যত্ন নেয়া অত্যন্ত জরুরি। এই যত্নে থাকা চাই প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ঘরোয়া টোটকা।
সেই সাথে খেয়াল রাখতে হবে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার দিকেও। জেনে নেয়া দরকার কোন খাবারগুলো ত্বকের জন্য উপকারী । কোন খাবার ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হবার পদ্ধতি
প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার জন্য অসংখ্য উপায় বা পদ্ধতি আমাদের চারপাশে আছে। কোনো কোনো পদ্ধতি স্কিনের কোনো ক্ষতি না করেই ত্বককে গ্লোয়িং করে তোলে ।কোনোটি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।
- ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিতে পারেন ক্লিনিক্যাল ট্রিটমেন্ট।
- তাছাড়া বিশেষজ্ঞদের ইনসট্রাকশন অনুযায়ী হারবাল স্কিন কেয়ার করতে পারেন।
- ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার এর পাশাপাশি নজর দিতে হবে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের দিকেও।
- ত্বকের জন্য ক্ষতিকর খাবার থেকে পুরোপুরি বিরত থাকতে হবে।
- এক এক স্কিনের জন্য একেক ধরনের খাবার অনুপযোগী হতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
- বাজারের সস্তা ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব ক্রিমের উপস্থিত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে।
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বাজার থেকে সংগৃহীত ৩২ ত্বকের লাইটেনিং ক্রিমের নমুনার মধ্যে ১৪ টিতেই পারদের পরিমাণ ২০১৩ সালের মিনামাটা কনভেনশন অন মার্কারি দ্বারা নির্ধারিত ১ ppm (পার্টস প্রতি মিলিয়ন) সীমার চেয়ে ৯০ থেকে ১৬০০ গুণ বেশি। (তথ্যসূত্র: দ্যা ডেইলি স্টার)
মানুষের ত্বকের রঙের জন্য প্রথমত দায়ী মেলানিন। মেলানিন মানব দেহের এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ, যা মেলানোসাইট নামক কোষ থেকে তৈরী হয়।
মানব দেহে মেলানিনের মাত্রা বা পরিমাণ নির্ভর করে একটি মানুষের জাতিসত্তা, তার পারিবারিক বংশগতি, এবং সূর্যালোকের উপস্থিতির ওপর।
ত্বকে মেলানিন এর মাত্রা বেশি থাকলে ত্বক কালো দেখায় এবং এর পরিমাণ কমতে থাকলে আস্তে আস্তে ত্বকের উজ্জলতা বাড়তে থাকে।
প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার জন্য কী খাবার খেতে হবে?
ন্যাচারাল উপায়ে ফর্সা হতে শুধু ত্বকের উপরিভাগের যত্নে প্রাধান্য দিলেই হবে না । সেই সাথে ত্বকের অভ্যন্তরের সুস্থতা ও সৌন্দর্যের দিকেও সমানতালে গুরুত্ব দিতে হবে।
- ত্বককে সুন্দর ও ফর্সা করতে প্রচুর পরিমানে সবুজ ও রঙিন শাক সবজি খেতে হবে।
- সতেজ ফলমূল, সামুদ্রিক মাছ ও ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে।
- ত্বককে ফর্সা ও উজ্জ্বল রাখতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করুন। পানি শরীরের অন্যান্য খাদ্য উপাদানের ভারসাম্য ঠিক রাখে । ত্বকের মেলানিন এর ঘনত্ব কমিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। তাছাড়া দেহের অতিরিক্ত টক্সিন দূর করে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও সতেজ।
- ন্যাচারাল ভাবে ফর্সা হতে নিয়মিত টমেটো খেতে পারেন। টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি আছে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আর এতে থাকা ‘লাইসোপিন’ নামক অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ত্বকের বিভিন্ন দাগ, বলিরেখা ও শুষ্কভাব দূর করতে সহায়তা করে। টমোটো খুব ভালো সানস্ক্রিন হিসেবেও কাজ করে।
- প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে খেতে পারেন লেবু ও লেবু জাতীয় বিভিন্ন ফল, যেমন: কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা ইত্যাদি। লেবু, কমলা, মোসাম্বি, জাম্বুরা, মাল্টা এগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে দারুন কার্যকরী। কারণ এতে আছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বককে হাইড্রেড রাখে এবং ত্বকের মেলানিন কমাতে সহায়তা করে।
- এছাড়াও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন গ্রিন টি, তেল সমৃদ্ধ সামুদ্রিক মাছ, শসা, গাজর ও বিভিন্ন সবুজ শাক সবজি।
প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হতে কি কি উপাদান ব্যবহার করবেন
তাছাড়া ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে নিন্মোক্ত উপাদানগুলো কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে।
১. চন্দন
প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার হয়ে আসছে। চন্দনের তৈরি বিভিন্ন ফেসপ্যাক, লোশন, ফেসওয়াশ ত্বককে ফর্সা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২. হলুদ
হলুদে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ক্ষতিকর উপাদান ধ্বংস করে ত্বককে করে তোলে ভেতর থেকে সুন্দর।
৩. জাফরান
অতি মূল্যবান উপাদান জাফরান ত্বকে টোনারের কাজ করবে এবং ত্বকের তেল চিটচিটে ভাব দূর করে ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করবে।
৪. ফলের রস
যে কোনো ফলের রস সরাসরি স্কিনে এপ্লাই করে শুকিয়ে নিয়ে ধুয়ে ফেললে পাওয়া যাবে একটি সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক।
৫. লেবু বা লেবু জাতীয় ফল
লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমানে এন্টি এক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি থাকে যা ত্বকের যাবতীয় দাগ কমিয়ে ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে।
ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন প্রাকৃতিক উপাদান
ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন প্রাকৃতিক উপাদান রূপচর্চায় নিয়মিত ব্যবহার করে ত্বকের কালো ভাব সহ যাবতীয় সমস্যা স্থায়ী ভাবে দূর করা সম্ভব। পাশাপাশি কেমিক্যাল মুক্তঅর্গানিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: হারবাল ফেসপ্যাক, হারবাল ফেসওয়াশ, ফেসমাস্ক, ন্যাচারাল টেনার ইত্যাদি।
অনলাইন এর এ যুগে একটু ঘাটাঘাটি করলেই হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন আপনার সেরা প্রাকৃতিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট অথবা অর্গানিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট।
বিশেষজ্ঞদের মতে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য ত্বকের উপরের যত্নের থেকেও খাওয়ার দাওয়ার মাধ্যমে স্কিনকে হেলদি ও গ্লোয়িং করে তোলা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
বিউটি এক্সপার্টদের মতামত – প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে এন্টি এক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে, প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে ও পলিউশন থেকে ত্বককে প্রটেকশন দিতে হবে।
ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এবং ইনস্ট্যান্ট ফর্সা করে তোলে এমন বিউটি প্রোডাক্ট অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার জন্য সঠিক ধারনা নিয়ে নিয়মিত ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করতে হবে।
FAQ:
১. মেয়েদের ফেস কি দিলে ফর্সা হয়?
উ: ন্যাচারাল উপাদন সমৃদ্ধ ভালো মানের ব্রাইটেনিং ক্রিম ও যে কোনে একটি ঘরোয়া ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে মেয়েদের ফেস ফর্সা হবে।
২. কীভাবে ঘরে বসে আমার ত্বক ফর্সা করতে পারি?
উ: একটি নির্দিষ্ট হারবাল স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করার মাধ্যমে।
ফর্সা হবার জন্য প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক
ফর্সা হবার জন্য প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক থাকতেই হবে ডেইলি স্কিন কেয়ার রুটিনে । কিছু প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক এর ব্যবহার চলুন জেনে নেই ।
এই ফর্সা হবার জন্য প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক ব্যবহার করে ত্বকের আসল সৌন্দর্য ধরে রাখা যায় । এজন্য থাকতে হবে একটি ডেইলি ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার রুটিন।
এছাড়া ফর্সা হতে চাইলে ঘরোয়া রূপচর্চার প্রতি বেশ জোড়ালো ভাবে গুরুত্ব দেয়া উচিত।
রান্নাঘরে থাকা বেশ কিছু উপাদান সঠিক ভাবে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারলে নিজেকে ফর্সা করে তোলা খুব একটা কঠিন বলে মনে হবে না।
প্রাকৃতিক ভাবে ফর্সা হয়ে ওঠার উপায় গুলোর মধ্যে ঘরোয়া টোটকা কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
রান্না ঘরের কৌটোয় থাকা মসুর ডাল, চালের গুড়ো, দুধ, চা পাতার নির্জাস, বেসন এমনকি কিছু কিছু সবজির নির্জাসও হতে পারে অর্গানিক রূপচর্চার উপাদান।
দুপুরের কড়া রোদ থেকে ফিরে বেসন ও কাঁচা দুধের প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক লাগিয়ে নিতে পারেন। অথবা স্ক্যাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন মসুর ডাল বা চালের গুড়ো।
আলুর রস বা টমোটোর রস ডেইলি স্কিন কেয়ার রুটিন এ টোনারের কাজ করবে।
এভাবে ফর্সা হবার জন্য প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক গুলো নিয়ম মাফিক ব্যবহার করে সেরে ফেলতে পারেন হারবাল স্কিন কেয়ারের কাজ।
ফর্সা হবার জন্য ডেইলি স্কিন কেয়ার রুটিন
কেউ চাইলেই ইনসট্যান্টলি ফর্সা হতে পারবে না। এজন্য চাই একটি ডেইলি স্কিন কেয়ার রুটিন।
ডেইলি স্কিন কেয়ার রুটিনে যেসব বিষয় তালিকাভুক্ত করা অপরিহার্য –
১. ফেস ক্লিন করা
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই ত্বকের সাথে মানানসই যে কোনো ফেসওয়াশ দিয়ে স্কিন ক্লিন করে নিতে হবে।
এছাড়া বাইরে থেকে আসলে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক ক্লিন করে নেয়া জরুরি।
২. ময়েশ্চারাইজার
প্রতিবার মুখ পরিষ্কার করার পর স্কিন টাইপ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
৩. রেগুলার ফেসপ্যাক
প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট টাইমে নিয়মিত যে কোনো একটি ফেসপ্যাক লাগানো উচিত। এতে ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে। এ জন্য প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক ই সবথেকে ভালো অপশন।
৪. রাতের পরিচর্যা
রাতে মুখ ভালোভাবে ক্লিন করে ত্বকের জন্য উপযুক্ত যে কোনো ন্যাচারাল সিরাম এপ্লাই করতে পারেন।
অথবা যে কোনো একটি প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ ব্রাইটেনিং ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
ফর্সা হবার জন্য কিছু প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক
অর্গানিক রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে অনেক ধরনের ফেসপ্যাক তৈরি করা যায়। এখানে কয়েকটি কার্যকরী ফেসপ্যাক এর রেমিডি তুলে ধরা হলো-
১. মধু ও বেসন
- দুই চামচ বেসন ও এক চামচ মধুর সাথে সামান্য লেবুর রা মিশিয়ে পুরো মুখে এপ্লাই করে ২০ মিনিট রাখতে হবে।
- এরপর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে।

- এই প্যাকটি ত্বকের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখে এবং ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে।
২. হলুদ ও দুধ
- দুই টেবিল চামচ কাঁচা দুধের সাথে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ত্বকে এপ্লাই করে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে হবে।
- এরপর ফেসপ্যাকটি শুকিয়ে গেলে শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে।
- কাঁচা দুধ ও হলুদ দুটোই ত্বকের ক্লিনজিং এর কাজ করে।
৩. টক দই ও লেবু
- চার টেবিল চামচ টক দই এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে।

- এই প্যাকটিও ত্বকের ক্লিনজিং এর কাজ করে এবং মেলানিন কমাতে সাহায্য করে
৪. কলা ও মধু
- অর্ধেক কলা ও ১ চামচ মধু একসাথে ম্যাস করে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- কলায় থাকা এন্টি এক্সিডেন্ট ত্বককে গভীর থেকে ফর্সা করে তোলে।
৫. জাফরান প্যাক
- দুই তিনটি জাফরান সারা রাত ভিজিয়ে রেখে তার সাথে ১ চা চামচ কাঁচা দুধ, ২ ফোটা নারকেল তেল এবং ১ চিমটি চিনি এড করে মুখে এপ্লাই করুন।

- এই প্যাকটি খুব দ্রুত ত্বক ফর্সা করতে পারে।
৬. গোলাপের ফেসপ্যাক
- গোলাপ ফুলের পাপড়ি বেটে পেস্ট তৈরি করে অথবা গোলাপ পাউডার ব্যবহার করে এই প্যাকটি তৈরি করা যাবে।
- গোলাপের পেস্ট বা পাউডার এবং এর সমপরিমাণ চন্দন পাউডার নিয়ে গোলাপজল মিশিয়ে একটি পারফেক্ট পেস্ট তৈরি করে মুখে এপ্লাই করতে হবে।

- শুকিয়ে গেলে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর দেখতে পাবেন ত্বকে চমৎকার জেল্লা চলে আসবে।
৭. চালের আটার ফেসপ্যাক
- এক টেবিল চামচ চালের আটার সাথে এক চা চামচ মুলতানি মাটি এবং প্রয়োজন মতো টমোটো জুস নিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে।
- মিশ্রনটি ত্বকে এপ্লাই করে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- যাদের টমেটোতে এলার্জি তারা টমেটোর রসের বদলে গোলাপজল বা নরমাল পানি ব্যবহার করতে পারেন।
৮. শসার ফেসপ্যাক
- প্রয়োজন মতো শসার রস এবং অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মিশ্রনটি ত্বকে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়ে।
- এরপর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই চলবে।
- এই প্যাকটি ত্বকের কালচে ভাব ও বলিরেখা দূর করে ত্বক করে তুলবে উজ্জীবিত।
কেমিক্যাল মুক্ত উপাদান সঠিক নিয়মে ডেইলি স্কিন কেয়ার রুটিন এ ব্যবহার করলে সাধারণত কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকেনা।
এভাবে ফর্সা হবার জন্য প্রাকৃতিক ফেসপ্যাক ব্যবহার করে ত্বক ফর্সা করাটা একটু সময়সাপেক্ষ ।কিন্তু এটি স্থায়ীভাবে কাজ করে।
FAQ
১.. কেন স্কিন এর গ্লো কমে যায়?
উ: অতিরিক্ত পলিউশন এবং সঠিক যত্নের অভাবে ত্বকের মেলানিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্কিন এর গ্লো কমে যায়।
২ .মুলতানি মাটি কি ত্বক ফর্সা করে?
মুলতানি মাটি কি ত্বক থেকে ট্যান চিহ্নগুলি কমাতে এবং পিগমেন্টেশন দূর করে, ত্বককে ফর্সা করে তোলে।



