রূপচর্চায় ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার ব্যবহার হয়ে আসছে সুপ্রাচীন কাল থেকে। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বক এবং চুলের যত্নে কোনো প্বার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। সেরা ১১টি ব্যবহার জানতে চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
অ্যালোভেরা একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুণ। এর গাছ দেখতে অনেকটা ক্যকটাস গাছের মত। এতে রয়েছে ২০ধরনের খনিজ উপাদান। এছাড়াও ভিটামিন A, B1, B2, B6, ইত্যাদি রয়েছে। এই উদ্ভিদের পাতার দুধার কাঁটাযুক্ত এবং ভিতরে থাকে পিচ্ছিল শাস, এটাই হলো অ্যালোভেরা জেল। রূপচর্চায় ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা জেলের উপকারীতা অনবদ্য।
সূচীপত্র :
- অ্যালোভেরা জেল মুখে এবং চুলে মাখলে কি হয়?
- অ্যালোভেরা জেল কিভাবে বের করবো?
- অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম
- অ্যালোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন
- স্কিন এবং হেয়ার কেয়ার এ অ্যালোভেরার ১১টি ব্যবহার
- Recommended Product:
- অ্যালোভেরা ব্যবহারের বিভিন্ন উপকারিতা
- রূপচর্চাতে অ্যালোভেরা ব্যবহারের সতর্কতা
- FAQ
- উপসংহার
- তথ্যসূত্র
অ্যালোভেরা জেল মুখে এবং চুলে মাখলে কি হয়?
প্রাকৃতিক রূপচর্চার উপাদান হিসেবে ঘৃতকুমারী বেশ প্রসিদ্ধ। গ্রীষ্মকালে অ্যালোভেরার ব্যবহার খুব আরামদায়ক কারণ এর ৯৮% পানি। স্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি এই পুষ্টিগুণ ত্বক ও চুলের যত্নে অনন্য ভূমিকা রাখে।
অ্যালোভেরাতে রয়েছে ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল’, ‘অ্যান্টিসেপ্টিক’, ‘অ্যান্টি ইনফ্লামাটরি’, ‘অ্যান্টি অক্সিডাইজিং’, ‘অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল’ ও ‘অ্যাস্ট্রিজেন্ট’ উপাদান যা চোখের চারপাশের কালো দাগ, ব্রণের দাগ, বলিরেখা ও বয়সের ছাপ দূর করে এবং লোমকূপও সংকুচিত করে। অ্যালোভেরা ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও খুব ভালো কাজ করে। তাজা অ্যালোভেরা জেল পেতে আপনার বারান্দা বা ছাদ বাগানে একটি ঘৃতকুমারী গাছ লাগাতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেল কিভাবে বের করবো?
কয়েকটি সতেজ অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে প্রথমে সাইডের কাঁঠাগুলো ফেলে দিতে হবে। তারপর মাঝ বরাবর কেটে হলুদ কষ ফেলে দিয়ে পাতার সবুজ অংশের একপাশে আলতো করে ছুরি দিয়ে আলগা করতে হবে। তারপর হাত দিয়ে উপরের সবুজ অংশ তুলে ফেলতে হবে। তখন জেলটা একটি চামচ দিয়ে নিয়ে পরিষ্কার বাটিতে সংরক্ষণ করতে হবে।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম:
অরগানিক রূপচর্চার উপাদান হিসেবে অ্যালোভেরা একটি জনপ্রিয় নাম। সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে ত্বক এবং চুল হবে অনন্য সাধারণ।
(ক) ফর্সা হওয়ার জন্য :
ফর্সা ত্বক পাওয়ার জন্য প্রতি রাতে অ্যালোভেরা জেলের সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখ,গলা এবং ঘাড়ে প্রয়োগ করুন। মিশ্রণটি ২০ মিনিট পর শুকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর মুছে মায়শ্চারাইজার লাগান। সপ্তাহে ২দিন করে লাগালে কিছুদিনের মধ্যে পাবেন চকচকে ফর্সা ত্বক।
(খ) উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য: কাঁচের মত উজ্জল চকচকে ত্বক পাওয়ার জন্য অ্যালোভেরার আইস কিউব ব্যবহার করুন। ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল ব্লেন্ড করে আইস ট্রেতে ঢেলে রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে বড় হওয়া লোমকূপের মুখ বন্ধ হবে। ত্বক হবে উজ্জ্বল চকচকে ফর্সা।
(গ) ব্রনের সমস্যা দূর করার উপায়: অ্যালোভেরার এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ সারাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরার জেল আইস কিউব ট্রেতে সংরক্ষণ করে দিনে ২-৩বার ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যা কমে যাবে।
অ্যালোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন:
ন্যাচারাল হেয়ার কেয়ার হিসেবে অ্যালোভেরার ব্যবহার খুবই ভালো। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া রোধ করে এবং চুল ঘন ও লম্বা করে। চুলের পরিচর্যায় অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর ব্যবহার বহু প্রাচীন হলেও অনেকে এই ব্যাপারে জানেন না।
স্কিন এবং হেয়ার কেয়ার এ অ্যালোভেরার ব্যবহার :
রূপচর্চায় অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী ব্যবহৃত হয়ে আসছে প্রাচীন যুগ থেকে। মূলত এটি একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুণ। ত্বক এবং চুলের যত্নে ১১টি ব্যবহার এখানে পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করা হলো:
ক)স্কিন কেয়ার বা ত্বকের পরিচর্যায় অ্যালোভেরার ব্যবহার: অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী হলো ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট। ফেসপ্যাক এবং ফেস মাস্ক হিসাবে অ্যালোভেরার ৬টি বিশেষ ব্যবহার নিচে দেওয়া হলো যা আপনাকে করবে আরও সতেজ ও সুন্দর।
১. মধু ও অ্যালোভেরার জেল
উপাদান:
- মধু
- অ্যালোভেরা জেল
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল
তৈরীর নিয়ম
তৈলাক্ত ত্বকের তেলতেলে ভাব কমাতে মধু, অ্যালোভেরা জেল ও ভিটামিন ই ভালোমতো মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে হবে।
ব্যবহার:
এই প্যাক ব্যবহারে ত্বক হবে মসৃণ এবং তেলহীন।
২. পায়ের যত্নে অ্যালোভেরা:
উপাদান:
- অ্যালোভেরা জেল
- ময়েশ্চারাইজার
তৈরীর নিয়ম:
১টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করুন যতক্ষণ পর্যন্ত ত্বকে সেটা মিশে যায়। ময়েশ্চারাইজারের সাথে মিশিয়ে অ্যালোভেরা জেল পায়ে লাগালে ভাল ফল পাবেন।
ব্যবহার:
পা ফাটা রোধ করতে অ্যালোভেরা খুব কার্যকরী উপাদান। নরম কনুই পেতে এবং হাঁটুতে ও অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারে ত্বক ভাল থাকে।
৩. ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে :
উপাদান :
- সতেজ অ্যালোভেরা জেল
- একটি বাটি
তৈরীর নিয়ম :
একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল নিয়ে ত্বকে হালকাভাবে ম্যাসাজ করতে হবে।

ব্যবহার:
যাদের বয়স ৪৫ বছরের বেশি তারা টানা ৯০ দিন ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে কোলোজেন তৈরীর হার বৃদ্ধি পায় এবং ইলাস্টিসিটি বাড়ে। ফলে ত্বক দেখায় তরুণ এবং বলিরেখা মুক্ত।
৪. পোড়া ত্বকের জন্য অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক:
উপাদান :
- বেসন
- অ্যালোভেরা জেল
- টক দই
তৈরীর নিয়ম :
একটি ছোট বাটিতে দুই টেবিল চামচ বেসন নিয়ে তাতে দেড় টেবিল চামচ পরিমাণ টক দই মেশান। কোনো ফ্লেভারড দই মেশাবেন না। এর সাথে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশান। এবার সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরী করুন।
ব্যবহার:
পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে অর্থাৎ মুখে, হাতে বা পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা ভাবে ঘষে তুলে ফেলুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে এই মাস্কটি সপ্তাহে একবার অথবা দুইবার ব্যবহার করলে ভাল ফলাফল পাবেন।
৫. ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার ব্যবহার:
উপাদান :
- চালের গুঁড়া
- অ্যালোভেরা জেল
- ঠান্ডা পানি
তৈরির নিয়ম:
এক টেবিল চামচ চালের গুঁড়া আর অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে আস্তে আস্তে মিশ্রণ তৈরী করুন।

ব্যবহার:
তারপর ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখুন ঠোঁট কত উজ্জ্বল, মসৃণ এবং কোমল হয়ে ওঠে। ঠোঁট এর রঙ উজ্জ্বল রাখতে ঠোঁট নরম আর মসৃণ করতে অ্যালোভেরা ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ঠোঁটে লাগালেই ঠোঁট উজ্জ্বল এবং নরম থাকবে।
৬.ত্বকের বলিরেখা দূর করার জন্য অ্যালোভেরা:
উপাদান :
- কমলালেবুর খোসা
- চালের গুঁড়া
- মধু
- তুলসি পাতা
- অ্যালোভেরার রস
তৈরির নিয়ম :
শুকনো কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো, চালের গুঁড়ো, মধু ও তুলসি পাতার একসাথে মিশ্রণের পর এর সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।

ব্যবহার:
হালকাভাবে ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানির ঝাপটায় ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ভাল ফল পাবেন। মুখের বলিরেখা দূরীকরণের রূপচর্চায় ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার রস খুব উপকারী।
হেয়ার কেয়ার বা চুলের পরিচর্যায় অ্যালোভেরা:
ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নে ও অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। অরগানিক হেয়ার কেয়ার হিসেবে ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার ব্যবহার সার্বজনীন। এখানে চুলের যত্নে অ্যালোভেরার ৫টি ব্যবহার উল্লেখ করা হলো :
১. চুল মায়শ্চারাইজ করতে:
উপাদান :
- টক দই
- অ্যালোভেরা জেল
- মধু
- অলিভ অয়েল
- ব্লেন্ডার
তৈরির নিয়ম :
চুল মায়শ্চারাইজ করতে এই প্যাক তৈরী করার জন্য ১ কাপ টকদই, আধা কপ অ্যালোভেরা, ৬ টেবিল চামচ মধু এবং ৬ টেবিল অলিভ অয়েল নিয়ে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করতে হবে।
ব্যবহার:
এরপর চুল ও তালুতে ভালভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
২. খুশকী দূর করে:
উপাদান :
উপাদান :
- ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল
- পানি
তৈরির নিয়ম :
ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল সংগ্রহ করে আলতো ভাবে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে,খুব বেশি ঘসে লাগানো উচিত নয়।

ব্যবহার:
৩০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। অ্যালোভেরাতে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান।তাই চুলে অ্যালোভেরার ব্যবহারে খুশকী দূর হয়।
৩. কন্ডিশনার হিসেবে অ্যালোভেরা:
উপাদান :
- চুল উপযোগী শ্যাম্পু
- অ্যালোভেরা জেল
- পানি
তৈরির নিয়ম :
চুলের কন্ডিশনার হিসেবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে চুলের ইলাস্টিসিটি বাড়ে। চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যায় না।
ব্যবহার:
শ্যাম্পু করার পর অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করে ১০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪. চুল পড়া রোধ করে:
উপাদান :
- অ্যালোভেরা জেল
- পানি
তৈরির নিয়ম :
অ্যালোভেরা চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করে এবং চুলের গোড়া শক্ত করে।
ব্যবহার:
চুলের গোড়ায় নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ২০মিনিট করে রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন।
৫. রুক্ষ চুলকে উজ্জ্বল করে:
উপাদান :
- মধু
- নারকেল তেল
- অ্যালোভেরা জেল
তৈরির নিয়ম :
১ চামচ মধু, ২ চামচ নারকেল তেল এবং ২ চামচ অ্যালোভেরা মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে হবে।
ব্যবহার:
গোসলের ৩০ মিনিট আগে মাথায় প্রয়োগ করে একটি ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখুন।এরপর শ্যাম্পু করে চুল পরিষ্কার করুন।

Recommended Product:
আপনার ত্বকের ধরণ বুঝে রূপচর্চায় ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার নিম্নোক্ত প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করলে আশা করি উপকৃত হবেন।
১. Skin Cafe Pure & Natural Aloe Vera gel 98%
২. Kapiva Pure Aloe Vera Skin Gel 500g For Face & Hair
৩. WOW Skin Science 99% Pure Aloe Vera Gel for Face, Skin & Hair
৪. Aloe Vera Soothing Gel 99%
অ্যালোভেরা ব্যবহারের বিভিন্ন উপকারিতা
- অ্যালোভেরার জুস কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- মাংসপেশির ব্যথা কমাতে অ্যালোভেরা জেল বা ক্রিম বেশ কারযকরী।
- নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করলে দাঁতের ইনফেকশন, ক্ষয়রোধ এবং মাড়ির ব্যথা প্রতিরোধ করা সম্ভব।কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, মাড়ির সমস্যা প্রতিরোধ করে।
- অ্যালোভেরা জুসে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেন্টারি উপাদান যা ক্রনিক প্রদাহ রোধ করে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই ডায়েট লিস্টে অ্যালোভেরা জুস অনেক জনপ্রিয় পানীয়।
- নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করলে রক্তের সুগারের পরিমাণ ঠিক থাকে, তাই খাওয়ার আগে ও পরে অ্যালোভেরা জুস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
- অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যালো ইমোডিন নামক উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
- অ্যালোভেরার অন্যতম ঔষধি গুণ হলো এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক রাখে।
রূপচর্চাতে অ্যালোভেরা ব্যবহারের সতর্কতা :
- অ্যালোভেরাতে এক প্রকার ক্ষতিকর এনজাইম থাকে। তাই সরাসরি না লাগিয়ে ত্বকের সাথে মানানসই উপাদানের সাথে মিশিয়ে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে বলে রূপ বিশেষজ্ঞরা।
- ক্ষত বা আক্রান্ত স্থানে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা ঠিক নয়।
FAQ:
১. অ্যালোভেরা মুখে কি কাজ করে?
উত্তর : মুখে অ্যালোভেরা ব্যবহারে ব্রণ দূর হয়, বলিরেখা রোধ করে, রোদে পোড়া ভাব দূর করে এবং ত্বকের যৌবন ধরে রাখে। এটি ত্বকের অরগানিক স্কিন কেয়ার হিসেবে কাজ করে।
২. অ্যলোভেরা মুখে কিভাবে ব্যবহার করে?
উত্তর: রূপচর্চায় ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে জেলকে আইস কিউব ট্রেতে সংরক্ষণ করলে মুখে ব্যবহার করা যায়। এতে ত্বকের জ্বালাপোড়া কমে, ত্বক পরিষ্কার হয় এবং সতেজ ভাব আসে।
৩. অ্যালোভেরা কি ব্রণের জন্য ভালো?
উত্তর : হ্যা। অ্যালোভেরাতে অ্যান্টি-একনি উপাদান রয়েছে যা ব্রণের সমস্যা নিরসনে কাজ করে।
উপসংহার :সজীব ত্বক এবং ঘন লম্বা চুল কে না চায়? কেমিক্যাল প্রোডাক্ট থেকে ত্বক ও চুলকে মুক্তি দিতে রূপচর্চায় ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার ব্যবহার আনে নতুনত্ব এবং সতেজতা। অল্প খরচে উজ্জ্বল ত্বক এবং সুন্দর ঝরঝরে চুল পেতে অ্যালোভেরাকে করুন নিত্য সঙ্গী!



