infixnatural.com/

প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন কিভাবে নেওয়া যায় তা অনেকের কাছে এখনো অজানা। আমরা অনেকেই এখনো জানিনা যে ঘরে থাকে এমন সব জিনিস দিয়েই আমরা চাইলে সহজেই আমাদের চেহারার তৈলাক্ত ভাব দূর করতে পারি। যাদের ত্বকে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব রয়েছে এরা ত্বকে নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন। সঠিক উপায়ে যদি ত্বকের যত্ন নেওয়া না হয় তাহলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করা কঠিন হয়ে পড়ে। ত্বকের তৈলাক্তভাব নিয়ে মুশকিলে পড়তে না চাইলে অবশ্যই প্রতিদিন ভালোভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।

গরমকালে যাদের তৈলাক্ত ত্বক রয়েছে তারা আরো বেশি মুশকিলে পড়ে যায়। সাধারণ ত্বকের মানুষেরাই গরমকালে যেখানে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে আরো বেশি স্কিন কেয়ার করতে শুরু করে সেখানে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারী মানুষদের জন্য এ সময় ত্বকের যত্ন নেওয়া আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকে তো নামিদামি ব্রান্ডের অনেক প্রোডাক্ট ব্যবহার করার পরেও এ সমস্যা থেকে সমাধান না পেয়ে ভেবেই নেয় যে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করা কখনোই সম্ভব না।

আজকের এই আর্টিকেলটি মূলত তাদের জন্যই যারা প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয়া যায় কিভাবে সে সম্পর্কে জানতে চাই। আমি আপনাদের আজকে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান সম্পর্কে জানাবো যা আমাদের রান্নাঘরে খুব সহজেই মেলে এবং এগুলো ভালোভাবে ব্যবহার করলে আমরা হয়তো তৈলাক্ত ত্বক হতে চিরস্থায়ীভাবে মুক্তি পেতে সফল হতে পারবো।

প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন বাড়িতে বসে নিতে হবে কিভাবে সে সম্পর্কে যারা জানতে চান তারা আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন

সূচিপত্র:

) ত্বক তৈলাক্ত হয় কেনো 

) প্রাকৃতিক উপায় তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়ার টি ফেসপ্যাক  

) তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনীয় টিপস

) শেষ কথা 

) প্রশ্নোত্তর (FAQ):

ত্বক তৈলাক্ত হয় কেনো:

আমাদের ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য এবং ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য একে নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল থাকা ত্বকের জন্য অনেক জরুরী। এছাড়া যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ তেল না থাকে তাহলে আমাদের ত্বক সুস্থ্য হয়ে যাবে। কিন্তু যখনই এই তেলের পরিমাণ নির্দিষ্ট থেকে বেশি হয়ে যায় তখনই আমাদের ত্বকে দেখা যায় তৈলাক্ত ভাব যা অনেক বিরক্তির কারণ। এখন প্রশ্ন হল আমাদের ত্বক তৈলাক্ত হয় কেন? 

আমাদের ত্বকে চর্বি দিয়ে তৈরি একটি তৈলাক্ত পদার্থ রয়েছে যার নাম হলো সিবাম। ত্বকের ভিতরে থাকা সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে এই সিবাম উৎপাদন হয়। এই সিবাম এর কাজ হল আমাদের ত্বককে রক্ষা করা এবং ময়েশ্চারাইজ করা। এটি আমাদের চুলকে চকচকে এবং স্বাস্থ্যকর রাখতেও সহায়তা করে। কিন্তু যখনই এই সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সিবাম অতিরিক্ত পরিমাণের উৎপাদন হতে শুরু করে তখনই আমাদের ত্বকে তৈলাক্ত ভাব তৈরি হয়। আবার অনেক সময় অতিরিক্ত সিবামের কারণে ত্বকের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রে সেগুলো আটকে যেয়ে ব্রনের সৃষ্টি হতে পারে।

এই সিবামই মূলত আমাদের তৈলাক্ত ত্বকের মূল কারণ। এখন প্রশ্ন হল আমাদের ত্বকে এই সিবাম উৎপাদন বাড়ার কারণ কি। মূলত জেনেটিক কারণ অথবা হরমোনের পরিবর্তনের কারণে সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে সিবামের উৎপাদন বেড়ে যায়। এমন কি আমরা যখন বেশি পরিমাণে স্ট্রেস নিয়ে থাকি বা মানসিক চাপে থাকি তখনো এই সিবামের উৎপাদন বাড়তে পারে।

প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়ার টি ফেসপ্যাক:

যদিও আমরা জানি যে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়াটা কঠিন তবুও প্রাকৃতিক রূপচর্চার মাধ্যমে আমরা চাইলে খুব সহজেই আমাদের তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে পারি। নামিদামি কোনো ব্রান্ডের কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার না করে এই দশটি প্রাকৃতিক পথ্য ব্যবহার করে আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়ার উপায় গুলো কি কি।  

. মধুর ফেসপ্যাক :

উপকরণ:

  • মধু 

প্রস্তুত প্রণালী:

একটি পরিষ্কার বাটিতে কিছু পরিমাণ মধু নিয়ে নিন।

ব্যবহার:

যাদের ত্বকে ব্রণ কিংবা তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা রয়েছে তারা শুধুমাত্র মধু মুখের মধ্যে মাখুন এবং দশ মিনিট অপেক্ষা করুন। দশ মিনিট পর মধু শুকিয়ে গেলে হালকা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে আপনার মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন।

উপকারিতা:

ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখার জন্য মধু খুবই উপকারী একটি উপাদান। মধু ত্বকের অনেক ধরনের জীবাণু প্রতিরোধ করে থাকে। 

. ডিমের সাদা অংশ এবং লেবুর ফেসপ্যাক:

উপকরণ:

  • ডিমের সাদা অংশ 
  • লেবু 

প্রস্তুত প্রণালী:

এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করার জন্য প্রথমে একটি পরিষ্কার বাটি নিয়ে নিন তারপর এর মধ্যে দিয়ে দিন একটি ডিমের সাদা অংশ। তারপর একটা চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

ব্যবহার:

এরপর তৈরিকৃত ফেসপ্যাকটি আপনার মুখে লাগিয়ে নিন এবং শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে থাকুন। তারপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

উপকারিতা:

লেবু একটি সাইট্রাস ফল যা কিনা অতিরিক্ত তেল শোষণ করতে সাহায্য করে। লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ক্ষমতা যা ত্বকের বিভিন্ন জীবাণু প্রতিরোধ করতে পারে। ডিমের সাথে লেবু মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে তা মুখে লাগালে ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে। 

নোট: যাদের ডিমে এলার্জি রয়েছে তারা অবশ্যই এই প্রক্রিয়াটি এড়িয়ে চলবেন। 

. কাজুবাদাম এর স্ক্রাব:

উপকরণ:

  • কাজুবাদাম গুরো
প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
  • মধু 

প্রস্তুত প্রণালী:

কাজু বাদামের স্ক্রাব তৈরি করতে প্রথমে নিয়ে নিন ৩ চা চামচ কাজু বাদামের গুঁড়ো এর সাথে দুই টেবিল চামচ কাঁচা মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

ব্যবহার:

তারপর তৈরিকৃত স্ক্রাবটি ভালোভাবে আপনার মুখে আস্তে আস্তে মাখুন। যখন স্ক্রাবটি আপনার মুখে শুকিয়ে যাবে তখন উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

উপকারিতা:

ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার বা এক্সফলিয়েট করার জন্য কাজুবাদাম খুবই উপকারী একটি উপাদান।  

নোট: বাদামে এলার্জি থাকলে অবশ্যই এই প্রক্রিয়াটি এরিয়ে চলবেন।

. টমেটোর পিউরি:

উপকরণ:

  • টমেটো 
  • চিনি 

প্রস্তুত প্রণালী:

টমেটোর পিউরি তৈরি করার জন্য প্রথমে একটি টমেটো ব্লেন্ড করে অথবা ছাকনি দিয়ে থেকে রস করে নিন। তারপর এর সাথে এক চা চামচ চিনি মেশান।

ব্যবহার:

তৈরিকৃত ফেসপ্যাকটি ভালো ভাবে আপনার গালের উপর বৃত্তাকার ভাবে মেসেজ করুন। মেসেজ পড়া হয়ে গেলে ৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। পাঁচ মিনিট পর যখন ফেসপ্যাকটি শুকিয়ে যাবে তখন হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে বুক ধুয়ে নিন।

উপকারিতা:

ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করতে টমেটো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও যাদের ত্বকে ময়লা জমে ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে গেছে সেগুলো পরিষ্কার করতেও টমেটো সাহায্য করে থাকে।  

. ওটস ফেসপ্যাক:

উপকরণ:

  • ওটমিল 
প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন
  • গরম পানি 
  • মধু 

প্রস্তুত প্রণালী:

ওটমিলের ফেসপ্যাক  তৈরি করার জন্য প্রথম একটি বাটিতে হাফ কাপ গুঁড়ো করা ওটস নিয়ে নিন তারপর এর সাথে হালকা গরম পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এরপর সেই পেস্টের সাথে নেড়ে নেড়ে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। 

ব্যবহার:

তারপর তৈরিকৃত মিশ্রণটি আপনার মুখে ৩-৪ মিনিট পর্যন্ত মাসাজ করতে থাকুন। তারপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

উপকারিতা:

ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ এবং এক্সফোলিয়েট করার জন্য ওটমিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। 

. চন্দন হলুদের ফেসপ্যাক:

উপকরণ:

প্রস্তুত প্রণালী:

চন্দন ও হলুদের ফেসপ্যাক তৈরি করার জন্য প্রথমে একটি বাটিতে নিয়ে নেন চন্দন ও হলুদের গুঁড়ো তারপর এর সাথে নিয়ে নিন কিছু পরিমাণ লেবুর রস।

এরপর সবগুলো উপাদান ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে নিন।

ব্যবহার:

তারপর তৈরিকৃত মিশ্রণটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রাখুন।

মিশ্রণটি ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

উপকারিতা:

ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার করার জন্য যুগ যুগ ধরেই নারীরা ব্যবহার করে আসছে হলুদ ও চন্দন।

হলুদ এবং চন্দনের তৈরি প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক থেকে তৈলাক্ত ভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বকের উজ্জলতাও ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। 

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়ার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস:

প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি বিভিন্ন ফেসপ্যাক ব্যবহার করার পাশাপাশি কিছু প্রয়োজনীয় টিপসও রয়েছে যেগুলো মেনে চললে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করা সহজ হয়ে যাবে। 

  • যাদের মুখ তৈলাক্ত তাদের বেশি বেশি মুখ ধোয়া উচিত। দিনে কমপক্ষে দুইবার মুখ পরিষ্কার করতে হবে। 
  • তৈলাক্ত ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ক্ষারীয় সাবান এরিয়ে চলাই ভালো গ্লিসারিন সমৃদ্ধ মৃদ সাবান ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশি উপকার পাওয়া যায়।
  • মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য এলোভেরা খুব উপকার। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মুখে হালকাভাবে এলোভেরা প্রয়োগ করুন এবং তা সকল পর্যন্ত রেখে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
  • ইনস্টান্টলি মুখে তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য ব্লটিং পেপার খুবই উপকারী একটি কাগজ। তাই চেষ্টা করুন বাহিরে কোথাও গেলে সব সময় ব্যাগে ব্লটিং পেপার রাখার। যখনই মনে হবে আপনার মুখের তৈলাক্ত ভাব বেড়ে গিয়েছে তখনই ব্লটিং পেপার দিয়ে ভালোভাবে মুখ মুছে নিন।
  • ফেসওয়াশ ব্যবহার করার সময় অবশ্যই চেষ্টা করবেন যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ ফেসওয়াস ব্যবহার করার৷ কারণ আজকাল বাজারে যেসব কেমিক্যাল সমৃদ্ধ ফেসওয়াস পাওয়া যায় সেগুলো মুখের তৈলাক্ত ভাব কমানোর বদলে আরো বাড়িয়ে তুলতে পার।
  • একটি স্প্রে বোতলে পানির সাথে হালকা পরিমাণ লবণ মিশিয়ে সব সময় সাথে রাখার চেষ্টা করুন৷ লবণের স্প্রেও মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে অনেক সাহায্য করে। আপনার মুখের যে অংশে তৈলাক্ত ভাবটা বেশি সেখানে হালকা একটু স্প্রে করে তারপর টিস্যুর সাহায্যে মুখ মুছে নিন।
  • এছাড়াও প্রতিদিন রাতে গোলাপ জল ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব অনেকটা দূর হবে।
  • গ্রিন টি বানিয়ে তা হালকা ভাবে তুলার সাহায্যে মুখে মাসাজ করার মাধ্যমে চাইলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করা যায়।

তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সেরা ৫ টি প্রোডাক্ট এর রিভিউ:

) নিউট্রজিনা অয়েল ফ্রি  ময়েশ্চারাইজার SPF 15

কেন ভালো:

এই ময়শ্চারাইজার স্কিনে খুব দ্রুতই অ্যাবজর্ভ হয়ে যায় এবং এর কারণে কোন সেনসিটিভিটির তৈরি হওয়া সম্ভাবনা নেই।

তাই যাদের স্কিন একটু সেনসিটিভ এবং এলার্জিক তারা চাইলে এটি নির্ভয়ে ইউজ করতে পারেন।

কোন সমস্যায় ভালো:

এরমধ্যে রয়েছে এস পি এফ ১৫ যা আপনাকে সান প্রটেকশন দিতে সাহায্য করবে।

তৈলাক্ত চেহারায় এটি ব্যবহার করার পর প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা তৈলাক্ত ভাব থেকে মুক্তি পাবেন। এটি স্কিনের ব্রণ হওয়া থেকে রক্ষা করবে।

মূল্য:

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য খুবই পরিচিত এই ময়েশ্চারাইজারটির দাম পড়বে প্রায় ৯০০-১০০০ টাকা।

কোথায় পাবেন:

নামকরা বিভিন্ন অনলাইন কসমেটিক পেজ কিংবা নামিদামি কোন সুপারশপে এটি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।

) দি বডি শপ টি ট্রি স্কিন ক্লিয়ারিং লোশন

কেন ভালো:

অনেক ময়েশ্চারাইজার আছে একটু ভারী হওয়ার কারণে ত্বকে ব্যবহারের পর খুব অস্বস্তি লাগে কিন্তু এই ময়েশচারাইজারটি খুবই হালকা জেলের মতো হওয়ার কারণে এটি ব্যবহারে আপনার কোন অস্বস্তি লাগবেনা।

এছাড়াও এটি ডে নাইট যে কোন সময় ইউজ করতে পারবেন 

প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

কোন সমস্যায় ভালো:

তারা খুব বেশি ব্রণের সমস্যায় ভুগেন এবং মুখের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব রয়েছে তাদের জন্য এই ময়েশ্চারাইজার টি একদম পারফেক্ট।

এটি স্কিনের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব কমাবে এবং ব্রনের হাত থেকে স্কিনকে রক্ষা করব।

মূল্য:

এটি বিভিন্ন অনলাইন কসমেটিক শপে ১১৪০ টাকায় অ্যাভেলেবল।

কোথায় পাবেন:

বিভিন্ন নামিদামি অনলাইন পেজ কিংবা বড় বড় সুপার শপ অথবা মার্কেটে পেয়ে যাবেন।

) লোটাস হারবাল হোয়াইট গ্লো মাইক্রো ইমালশন SPF 25

কেন ভালো:

যাদের স্কিন অয়েলি কিন্তু রেগুলার রোদে বাইরে যেতে হয় তাদের জন্য এই ময়েশ্চারাইজার টি পারফেক্ট। এটি সামান্য পরিমাণ ভারী মনে হলেও স্কিনে খুব দ্রুতই মিশে যাবে।

ত্বকের তেলতেলে ভাব যেমন কমাবে তেমনি রোদের হাত থেকেও রক্ষা করবে 

কোন সমস্যায় ভালো:

ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমানোর জন্য এটা খুবই কার্যকরী। এটা ব্যবহারের পরের ত্বক অনেক গ্লোয়িং মনে হবে। সান প্রটেকশনের জন্য এটা বেস্ট।

মূল্য:

এর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৫০০-৬০০ টাকা।

কোথায় পাবেন:

যেসব অনলাইন কসমেটিক শপ কিংবা সুপার শপ লোটাসের প্রোডাক্ট আমদানি করে তাদের কাছে পেয়ে যাবেন।

) ক্যাটাফিল অয়েলি স্কিন ক্লিনজার 

কেন ভালো:

এই ক্লিনজারটি নারী ও পুরুষ উভয়ের ব্যবহারের জন্যই উত্তম। এর মধ্যে কোন ধরনের কৃত্রিম সুগন্ধি ব্যবহার করা হয় না। এটি ত্বকের পিএইচ লেভেল ধরে রাখতে সাহায্য করে।

এটি ডার্মাটলজিস্ট টেস্টেড একটি বেস্ট প্রোডাক্ট যার মধ্যে সোডিয়াম লরেট সালফেট থাকে না।

এর ফেসওয়াশ টি সম্পূর্ণ লিকুইড থাকে যার ফলে ব্যবহার করতে সুবিধা হয়।

প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

কোন সমস্যায় ভালো:

যাদের ত্বক তৈলাক্ত এবং সবসময় অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব থেকে থাকে তারা এটি ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বক থেকে সহজেই মুক্তি পাবে।

এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং সেই সাথে ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

মূল্য:

এর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৮০০-১৯০০ টাকা।

কোথায় পাবেন:

যে কোনো ভালো অনলাইন পেজ অথবা বিভিন্ন বড় বড় সুপার শপে গিয়ে খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন যারা এগুলো আমদানি করে থাকে। 

) DermaCo Oil Free Daily Face Wash:

কেন ভালো:

তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য যারা রেগুলার ইউজেবল ফেসওয়াশ খুঁজছেন তাদের জন্য এটা পারফেক্ট।

এটি নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকের তেলতেলে ভাব কমিয়ে ব্রনের সমস্যা দূর করবে।

কোন সমস্যায় ভালো:

যাদের ত্বকে অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব এবং ব্রনের কারণে চেহারার উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে গেছে এবং চেহারা আগের মত আর সজীব নেই তারা এটি ব্যবহার করলে ত্বকের এসব সমস্যা যেমন দূর হবে সাথে ত্বক আগের মত উজ্জ্বল ও সজীব হয়ে উঠবে। এটি ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।

প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন

মূল্য:

বর্তমান বাজার মূল্য রয়েছে প্রায় ৫৫০-৬০০ টাকা।

কোথায় পাবেন:

বিভিন্ন অনলাইন পেজ এবং সুপার শপ গুলোতে পেয়ে যাবেন। 

শেষ কথা:

প্রাকৃতিক উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্য সবসময় একটু বাড়তি রূপচর্চার প্রয়োজন হয়। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে চাইলে সব সময় ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। সঠিকভাবে ন্যাচারাল স্ক্রিন কেয়ার করলে তৈলাক্ত ভাব অনেকটাই দূর করা সম্ভব। উপরে উল্লেখিত প্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা তৈরি ফেসপ্যাক গুলো যদি নিয়মিত ব্যবহার করা হয় তাহলে খুব শীঘ্রই তৈলাক্ত ত্বকের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। 

প্রাকৃতিক রূপচর্চায় যেহেতু কোন সাইড ইফেক্ট নেই তাই এইসব ফেসপ্যাক ব্যবহারের ফলে আপনার ক্ষতি হওয়ারও কোন সম্ভাবনা নেই।

তবে খেয়াল রাখতে হবে যেসব উপাদানে আপনার অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যেমন কাজুবাদাম, এলোভেরা সেগুলো যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

এছাড়াও আপনারা যদি বাহিরের কোন প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ভালোভাবে নির্দেশনাবলি পড়ে নিবেন এবং সেখানে এলার্জি জাতীয় কোন উপাদান আছে কিনা তা খেয়াল রাখবেন।

আশা করছি, আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন যে প্রাকৃতিক উপায় তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন কিভাবে নিতে হয়।

এরপরেও যদি আপনাদের এই সম্পর্কে আর কোনো কিছু জানার থাকে তাহলে তা আমাদের কমেন্ট করে জানানোর অনুরোধ রইল। 

প্রশ্নোত্তর(FAQ):

প্রশ্ন: ইন্সটেন্টলি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার কোন উপায় আছে কি?

উত্তর: হ্যাঁ, আছে। আপনি যখন বাহিরে যাবেন তখন সাথে অবশ্যই ব্লটিং পেপার অথবা লবণের তৈরি স্প্রে রাখবেন। এগুলো দিয়ে খুব সহজে ইনস্ট্যান্টলি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব অনেকটা দূর করা সম্ভব।

প্রশ্ন: ত্বকের তৈলাক্তভাব বৃদ্ধি পাওয়ার মূল কারণ কি

উত্তর: আমাদের ত্বকে থাকা সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে যে সিবাম উৎপাদন হয় তার পরিমাণ যখন বেড়ে যায় তখনই আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দেখা দেয়।

আর এই শিবম এর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দায়ী হচ্ছে জেনেটিক কার, হরমোনাল পরিবর্তন ও অতিরিক্ত মানসিক চাপ।

প্রশ্ন: তৈলাক্ত ত্বকের ফেসওয়াশে কি কি উপাদান থাকা উচিত

উত্তর: তৈলাক্ত  ত্বকের জন্য ফেসওয়াশ বাছাই করার সময় অবশ্যই এটা মনে রাখতে হবে যে আপনার ফেসওয়াশে যেন দুধ অথবা দুধ জাতীয় কোন উপাদান না থাকে।

কারণ দুধ জাতীয় উপাদান আপনার ত্বকের ব্রণের সৃষ্টি করতে পারে।

তৈলাক্ত ত্বকের ফেসওয়াশ কেনার সময় অবশ্যই দেখে নেবেন সেখানে গ্রিন টি, কফি অথবা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো এমন উপাদান রয়েছে কিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment

Name

Home Shop Cart Account
Shopping Cart (0)

No products in the cart. No products in the cart.