infixnatural.com/

ত্বক ও চুলের যত্নে পিঁয়াজ

ত্বক ও চুলের যত্নে পিঁয়াজ

রূপচর্চায় পিঁয়াজ ব্যবহার করে মুখের ত্বক, শরীর ও চুলের সৌন্দর্য কয়েকগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে নেয়া সম্ভব। চলুন ত্বক ও চুলের যত্নে পিঁয়াজ ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

ঘরোয়া স্কিন কেয়ার ও হেয়ার কেয়ারে পিঁয়াজ একটি কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান। এটি আমাদের পায়ের নখ থেকে শুরু করে মাথার চুল পর্যন্ত সব বডি পার্টস-এরই সৌন্দর্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। 

চুলের যত্নে পিঁয়াজের ব্যবহার সম্পর্কে সবারই কমবেশি ধারনা আছে, তবে স্কিন কেয়ারেও কিন্তু পিঁয়াজ কম কার্যকরী নয়। স্কিনের যে কোনো ব্রন ও ফুসকুড়ি দূর করতে, ত্বকের রোদে পোড়া ভাব কমাতে এবং ত্বককে ফর্সা করতে পিঁয়াজ দারুণ কার্যকরী ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার উপাদান।

তবে রূপচর্চায় পিঁয়াজ ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানতে হবে। কোন সমস্যার জন্য কিভাবে কতোটুকু পরিমাণ পিঁয়াজ ব্যবহার করা দরকার তা জানা থাকলে ঘরোয়া ভাবে পিঁয়াজ ব্যবহার করে হয়ে উঠতে পারবেন পরিপূর্ণ সুন্দর।

 পিঁয়াজ এর যতো গুনাগুন ও রূপচর্চায় পিয়াজ এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আজকের আয়োজন। 

পিঁয়াজের রস মুখে দিলে কি হয়?

পিঁয়াজ ব্রনের চিকিৎসায় সাহায্য করে। পিঁয়াজে রয়েছে ভিটামিন সি যা কোষের টার্নওভারের গতি বাড়াতে সহায়তা করে, ত্বকের রোদে পোড়া ভাব কমায় এবং ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। 

কাঁচা পিঁয়াজে আছে প্রচুর পরিমানে ফ্ল্যাভোনয়েড যা ত্বকের কোষকে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে এবং এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট ওভিটামিন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

নিয়মিত পিঁয়াজের রস ব্যবহারের ফলে মুখের রক্ত চলাচল ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ফলে মুখের ব্রনের সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি ত্বক ফর্সা হতে শুরু করে। সেই সাথে মুখের দাগ ছোপ ও ইনফেকশনজনিত সমস্যার সমাধানও হয়। 

পিঁয়াজ এর রস কীভাবে বের করব?

রূপচর্চায় পিঁয়াজ ব্যবহার করতে হলে আগে জানতে হবে পিঁয়াজ এর রস বের করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে। পিয়াজ গ্রেট করে অথবা পিঁয়াজের পেস্ট তৈরি করে রস বের করা যায়।

পিঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। একটা গ্রেটারের চিকন পাশ দিয়ে পিয়াজ গ্রেট করে তার সাথে ২/১ চামচ পানি মিক্স করে পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে চিপড়ে রস বের করে নিতে পারবেন।

অথবা পিঁয়াজ এর খোসা ছাড়িয়ে ছোট টুকরো করে কেটে ব্লন্ড করে বা শিল পাটায় বেটে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্ট এর সাথে সামান্য পানি মিক্স করে পরিষ্কার কাপরে নিয়ে চিপড়ে রস বের করে নিতে পারবেন। পিঁয়াজ এর পেস্টও বিভিন্ন রেমিডি তৈরিতে ব্যবহার করা যায়। 

পিঁয়াজ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়:

পিঁয়াজ মূলত ত্বকের দাগ ছোপ কমিয়ে ও রোদে পোড়া ভাব কমিয়ে ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করে। নিয়মিত পিঁয়াজের রস ব্যবহার করলে ত্বকের মেলানিন এর মাত্রা আস্তে আস্তে কমতে থাকে ফলে ত্বক ফর্সা হয়।

 এই পিঁয়াজ এর রসের ফেসপ্যাক, ফেস মাস্ক বা ফেসওয়াশ নিয়মিত ব্যবহার করে ত্বকের অয়েল কনট্রোল করা যায়, যার ফলে ত্বকে চলে আসে এক্সট্রা জেল্লা। তাছাড়া ড্রাই স্কিনের জন্য ব্যবহার করতে পারেন পিঁয়াজের রসের তৈরি ময়েশ্চারাইজার। 

রূপচর্চায় পিঁয়াজ এর ব্যবহার যে শুধু মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে তা কিন্তু নয়। পিঁয়াজের তৈরি বডি প্যাক পুরো শরীর ফর্সা করতে পারে। আন্ডারআর্মস এর কালো দাগ দূর করতেও পেয়াজের রস কার্যকরী। 

ত্বক চুলের যত্নে পেয়াজের কার্যকরীতা :

সম্প্রতি এক স্টাডিতে জানা গেছে যে-

২০২২ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিশ্ব বাজারে প্রাকৃতিক স্কিন কেয়ার পণ্যের চাহিদা চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক ৬.৬% হারে বৃদ্ধি পেতে থাকবে। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি পণ্যের বাজার চাহিদা বাড়ার মূল কারণ সচেতনতা এবং ত্বকে রাসায়নিক পদার্থের বিরূপ প্রভাব। কারণ জৈব উপাদানগুলো পরিবেশ বান্ধব এবং ত্বকের যত্নে প্রতিকূল।

দেখা যাচ্ছে দিন দিন প্রাকৃতিক উপাদানে স্কিন কেয়ারের ফর্মুলা জনপ্রিয়তার শর্ষে পৌছে যাচ্ছে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে রূপচর্চায় পিঁয়াজ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান। ত্বকের যত্নের পাশাপাশি চুলের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে পিঁয়াজ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে পারে।

নিয়মিত পিয়াজের রস ব্যবহারে চুল সিল্কি হয়, চুল পড়া কমে, চুল লম্বা হয় এবং খুশকির সমস্যা চিরতরে দূর হয়। পিঁয়াজ এর হেয়ার প্যাক, পিঁয়াজ এর অর্গানিক তেল এমনকি সরাসরি পিঁয়াজ এর রস ব্যবহার করেও চুলের সমস্যা সমাধান করা যায়। 

রূপচর্চায় পিঁয়াজ ব্যবহার:

রূপচর্চায় পিঁয়াজ বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা যায়। প্রথমে আমরা জানবো ত্বকের যত্নে পিঁয়াজ এর ব্যবহার সম্পর্কে। চলুন জেনে নেয়া যাক পিঁয়াজ এর তৈরি হোমমেড ফেসপ্যাক, বডি প্যাক এবং পেয়াজ স্ক্রাবার তৈরির নিয়ম ও ব্যবহার সম্পর্কে। 

পিঁয়াজ এর ফেসপ্যাক –

রেমিডি 

উপাদান –

১. পিঁয়াজ 

২. টক দই 

৩. মধু

তৈরির নিয়ম- 

১ চামচ পিঁয়াজ এর সাথে ২ চামচ টক দই ও ১ চামচ মধু নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। 

ব্যবহার –

রেগুলার ব্যবহৃত ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে একটি ব্রাশের সাহায্যে পুরো মুখে প্যাকটি লাগিয়ে নিতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি ব্রন ও ব্রনের দাগের সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। 

রেমিডি

উপাদান –

১. পিঁয়াজ 

২. বেসন

৩. দুধের সর

তৈরির নিয়ম-

১ চামচ পিঁয়াজ এর রস, ১ চামচ বেসন ও ১ চামচ দুধের সর নিয়ে ভালোভাবে মেশাতে হবে। মিশ্রনটির থিকনেস পারফেক্ট করতে নরমাল পানি বা কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। 

ব্যবহার –

মুখ ও গলা পরিষ্কার করে মিশ্রনটি ভালোভাবে এপ্লাই করতে হবে। ২০ মিনিট পরে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে যে কোনো ময়েশ্চারাইজার ইউজ করতে হবে। চার সপ্তাহ নিয়মিত এই প্যাকটি ব্যবহার করলে ত্বক কয়েক শেড পর্যন্ত ফর্সা হবে এবং অয়েল কনট্রোল হবে।

রেমিডি

উপাদান –

১. পিঁয়াজ 

২. ডিম

৩. গাজর

ত্বক ও চুলের যত্নে পিঁয়াজ

তৈরির নিয়ম- 

প্রথমে অর্ধেক পিঁয়াজ ও অর্ধেক গাজর ব্লেন্ড করে নিয়ে তার মধ্যে একটি ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ফেটিয়ে নিতে হবে।

ব্যবহার-

পরিষ্কার মুখে ও গলায় মিশ্রণটি এপ্লাই করে ১৫ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি মুখের পোরস দূর করে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। 

রেমিডি

উপাদান –

১. পিঁয়াজ 

২. মধু

৩. লেবু

তৈরির নিয়ম- 

২ চামচ পিঁয়াজ পেস্ট এর সাথে এক চামচ মধু ও ১ চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিক্স করে নিতে হবে। 

ব্যবহার –

পুরে মিশ্রনটি পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি মুখের যে কোনো দাগ দূর করে ত্বকে দেয় এক্সট্রা গ্লো।

পিঁয়াজ এর তৈরি বডি প্যাক :

উপাদান –

১. পিঁয়াজ 

২. ওটমিল

৩. মধু

তৈরির নিয়ম- 

২০ মিনিট ধরে হালকা আচে জ্বাল করা ওটমিল এর মধ্যে ১ টি ব্লেন্ড করা পিঁয়াজ ও এক চামচ মধু মিক্স করে নিতে হবে।

ব্যবহার –

হাত, পা, গলা ও ঘাড়ের খোলা অংশ ভালোভাবে পরিষ্কার করে প্যাকটি লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে। চমৎকার এই বডি প্যাকটি শরীরের যে কোনো স্থানে রেগুলার ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা হবে।

পিঁয়াজের তৈরি স্ক্রাবার :

উপাদান –

১. পিয়াজ

২. চালের গুঁড়া 

৩. কাঁচা দুধ /গোলাপ জল 

তৈরির নিয়ম- 

২/৩ চামচ পিঁয়াজ এর রসের সাথে ২ চামচ চালের গুঁড়া ও ২ চামচ কাঁচা দুধ বা গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে।

ব্যবহার –

ত্বক পরিষ্কার করে মিশ্রনটি পুরো মুখে ও গলায় এপ্লাই করে আলতো হাতে স্ক্রাব করতে হবে। এই স্ক্রাবারটি মুখের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে ও ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে। 

রূপচর্চায় পিঁয়াজ এর ব্যবহার কিন্তু শুধু ত্বকের জন্যই কার্যকরী নয়, বরং চুলের যত্নেও পিয়াজ উপকারী একটি উপাদান। 

চলুন জেনে নেয়া যাক পিঁয়াজের তৈরি হেয়ার প্যাক ও হেয়ার অয়েল তৈরি ও ব্যবহারের নিয়ম।

পিঁয়াজ এর হেয়ার প্যাক

রেমিডি

উপাদান –

১. পিয়াজ

২. ডিম

তৈরির নিয়ম- 

ডিমের সাদা অংশের সাথে ২ টি পিঁয়াজ এর রস বের করে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।

ব্যবহার –

মিশ্রনটি হাতের তালুতে নিয়ে ভালোভাবে চুলের গোড়ায় ও পুরো চুলে লাগিয়ে ১ ঘন্টা রাখতে হবে। এরপর রেগুলার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল নরম রাখে।

রেমিডি

 উপাদান –

১. পিঁয়াজ 

২. টক দই 

৩. ভিটামিন ই ক্যাপসুল 

ত্বক ও চুলের যত্নে পিঁয়াজ

তৈরির নিয়ম- 

হাফ কাপ টক দই ও ১ টি পিয়াজের রসের মধ্যে ২/৩ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর মধ্যে থাকা লিকুইড বের করে ভালোভাবে মেশাতে হবে।

ব্যবহার –

পুরো মিশ্রণটি চুলের গেড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগাতে হবে। ৪০ মিনিট পরে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে। এই প্যাকটি চুলের গোড়া শক্ত করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলকে সিল্কি করে।

রেমিডি

উপাদান –

১. পিয়াজ

২. মধু

৩. লেবু

তৈরির নিয়ম-

হাফ কাপ পিঁয়াজ এর রসের সাথে ১ টি লেবুর রস ও ২ চামচ মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগাতে হবে। ১ ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি চুলের খুশকির সমস্যা দূর করার পাশাপাশি চুল পড়া প্রতিরোধ করে।

পিঁয়াজ এর তৈরি হেয়ার অয়েল:

হেয়ার অয়েল রেমিডি

উপাদান –

১. পিয়াজ

২. নারকেল তেল

৩. অলিভ অয়েল 

তৈরির নিয়ম-

একটি ছোট পাত্রে ১ কাপ নারকেল তেল এর সাথে হাফ কাপ অলিভ অয়েল মিক্স করে গরম করতে হবে।

তার মধ্যে ১ টি পেয়াজ কুচি করে দিয়ে ভাজতে হবে যতোক্ষণ না পেয়াজ পুরোপুরি ভাজা হয়।

এরপর তেল ছেকে নিয়ে ঠান্ডা করে বোতলে ভরে রাখতে পারবেন।

সপ্তাহে ২/১ বার চুলের গোড়ায় এই তেল ব্যবহার করলে চুলপড়া কমবে ও নতুন চুল গজাবে।

হেয়ার অয়েল রেমিডি

উপাদান –

১. পিঁয়াজ 

২. নারকেল তেল

তৈরির নিয়ম- 

২ টি পিঁয়াজ ব্লেন্ড করে বা শিল পাটায় বেটে পেস্ট তৈরি করতে হবে। ১ কাপ তেল গরম করে তার মধ্যে পিয়াজ এর পেস্ট দিয়ে মিশ্রনটি ফুটিয়ে নিয়ে হবে৷

এরপর ছাকনি দিয়ে ছেকে হালকা গরম থাকা অবস্থায়ই স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করতে হবে।

তবে এই তেলটি বানিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা যাবে না, সাথে সাথে ব্যবহার করতে হবে।

এই তেলটি খুব দ্রুত চুলপড়া কমাবে এবং চুল সিল্কি করবে। 

রূপচর্চায় পিয়াজ এর হোম মেড হেয়ার কেয়ার রেমিডি ও স্কিন কেয়ার রেমিডি ব্যবহারের পাশাপাশি পিঁয়াজ এর বিভিন্ন অর্গানিক প্রোডাক্ট কিনে সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন।

যেমন: ইন্ডিয়ান ovetta face wash, Dr. RASHEL Face pack, অনিয়ন ফেসপ্যাক, পেঁয়াজ পাউডার,Wazih organic onion oil ইত্যাদি। 

ছেলেদের ত্বকের যত্নে পিঁয়াজ:

ত্বক ও চুলের যত্নে পিঁয়াজ ব্যবহারের সব ধরনের রেমিডি মেয়ে ছেলে উভয়েই ব্যবহার করতে পারবে।

নিজস্ব সমস্যা অনুযায়ী উপরোক্ত যে কোনো ফেসপ্যাক, হেয়ার প্যাক বা হেয়ার অয়েল ছেলেদের জন্য ব্যবহার উপযুক্ত। 

রুপচর্চায় পেয়াজ ব্যবহার এর সময় সতর্কতা:

ত্বক ও চুলের যত্নে পিঁয়াজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই কিছু বিষয়ের প্রতি সতর্ক থাকতে হবে। 

১. পিঁয়াজ বা পিঁয়াজের সাথে ব্যবহৃত অন্য কোনো উপাদান ব্যবহারের পর ত্বক জ্বালাপোড়া করলে প্যাকটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। 

২. পিঁয়াজ এর রসে এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিলে এই ধরনের রেমিডি এরিয়ে চলা উচিত।

৩. অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা বাচ্চাদের ত্বকে পিয়াজ এর তৈরি কোনো ধরনের রেমিডি ব্যবহার না করাই উত্তম। 

৪. পিয়াজ রস চোখের আশেপাশে ব্যবহার করা যাবে না।

৫. প্রত্যকটি রেমিডি ১০০% পিওর উপাদান দিয়ে পরিষ্কার পাত্রে তৈরি করতে হবে।

শেষ কথা

ত্বক ও চুলের যত্নে পিঁয়াজ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কেননা একটি মাত্র উপাদান দিয়ে ফেস, চুল সহ পুরো শরীরের পরিচর্যা করা সম্ভব হচ্ছে।

তাই পিঁয়াজ এর তৈরি অর্গানিক রেমিডি তৈরির সঠিক নিয়ম জেনে নিয়মিত এর ব্যবহার নিশ্চিত করা উচিত।

ঘরে থাকা সামান্য একটি উপকরণ দিয়ে যদি একই সাথে স্কিন কেয়ার ও হেয়ার কেয়ার করা সম্ভব হয় তাহলে আর চিন্তা কিসের।

তবে অবশ্যই যে কেনো রেমিডি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। 

FAQ:

ক) পিঁয়াজ কি ত্বকের জন্য ভালো?

হ্যাঁ, পিঁয়াজে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বকের একনি ও অন্যান্য সংক্রমণ জনিত সমস্যা সমাধান করে এবং ত্বককে ফর্সা করে।

খ) সব ধরনের স্কিনে কি আলু ব্যবহার করা যায়? 

কাঁচা পিঁয়াজে এলার্জির সমস্যা না থাকলে সব ধরনের ত্বকের জন্যই পিঁয়াজ উপকারী।

গ) সপ্তাহে কয়বার পিয়াজ ত্বকে ব্যবহার করা উচিত?চুলের যত্নে সপ্তাহে ২/১ বার এবং ত্বকের যত্নে প্রতিদিন পিয়াজ ব্যবহার করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Comment

Name

Home Shop Cart Account
Shopping Cart (0)

No products in the cart. No products in the cart.